০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যার কারনে পানি ও বিদ্যুৎহীন ফেনীর লাখ লাখ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫:০৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • / 124

বন্যার ছবি

পরিস্থিতির অবনতি হলে এই তিন উপজেলার পাশাপাশি সোনাগাজী ও দাগনভূঁইয়া উপজেলার কিছু অংশের বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ভারী বর্ষণে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। ফেনীর মুহুরী, কাহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ভাঙ্গা বাঁধের বন্যার পানি এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে, লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এবং বিদ্যুৎ ছাড়াই।

সংযোগের অভাবে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে সৃষ্ট বিদ্যুতের লাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।

পরিস্থিতির অবনতি হলে এই তিন উপজেলার পাশাপাশি সোনাগাজী ও দাগনভূঁইয়া উপজেলার কিছু অংশের বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ভারী বর্ষণে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

পরশুরামের সাতকুচিয়ার বাসিন্দা আবদুর রহমান জানান, বন্যার পানিতে তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।

“শক্তিশালী স্রোত উদ্ধার অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে, এবং বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্কের অভাব তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে,” তিনি যোগ করেছেন।

ফেনী পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার ফজলুর রহমান জানান, জেলার চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখের বেশি বিদ্যুৎবিহীন। ভারি বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, তাদের আনুমানিক ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন।”বন্যার পানি না কমানো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃস্থাপনের কোনো আশা নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।” যোগ করা হয়েছে

এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া লোকজনকে সরিয়ে নিতে স্পিডবোট দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক দিনভর উদ্ধার তৎপরতা ও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডও উদ্ধার কাজে যোগ দিচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। বন্যার কারণে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কসহ স্থানীয় সব গ্রামীণ সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।

ফেনীর জেলা প্রশাসক মোসাম্মৎ শাহিনা আক্তার জানান, উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে ছয়টি স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে এবং আরও ছয়টি ফেনীর পথে রয়েছে। বিজিবির সদস্যরাও জড়িত, এবং কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযানে যোগ দিচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

বন্যার কারনে পানি ও বিদ্যুৎহীন ফেনীর লাখ লাখ মানুষ

প্রকাশিত ০৫:০৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

পরিস্থিতির অবনতি হলে এই তিন উপজেলার পাশাপাশি সোনাগাজী ও দাগনভূঁইয়া উপজেলার কিছু অংশের বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ভারী বর্ষণে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। ফেনীর মুহুরী, কাহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ভাঙ্গা বাঁধের বন্যার পানি এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে, লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এবং বিদ্যুৎ ছাড়াই।

সংযোগের অভাবে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে সৃষ্ট বিদ্যুতের লাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।

পরিস্থিতির অবনতি হলে এই তিন উপজেলার পাশাপাশি সোনাগাজী ও দাগনভূঁইয়া উপজেলার কিছু অংশের বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ভারী বর্ষণে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

পরশুরামের সাতকুচিয়ার বাসিন্দা আবদুর রহমান জানান, বন্যার পানিতে তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।

“শক্তিশালী স্রোত উদ্ধার অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে, এবং বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্কের অভাব তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে,” তিনি যোগ করেছেন।

ফেনী পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার ফজলুর রহমান জানান, জেলার চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখের বেশি বিদ্যুৎবিহীন। ভারি বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, তাদের আনুমানিক ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন।”বন্যার পানি না কমানো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃস্থাপনের কোনো আশা নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।” যোগ করা হয়েছে

এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া লোকজনকে সরিয়ে নিতে স্পিডবোট দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক দিনভর উদ্ধার তৎপরতা ও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডও উদ্ধার কাজে যোগ দিচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। বন্যার কারণে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কসহ স্থানীয় সব গ্রামীণ সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।

ফেনীর জেলা প্রশাসক মোসাম্মৎ শাহিনা আক্তার জানান, উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে ছয়টি স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে এবং আরও ছয়টি ফেনীর পথে রয়েছে। বিজিবির সদস্যরাও জড়িত, এবং কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযানে যোগ দিচ্ছে।