০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

iPhone 15 VS iPhone 16

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 107

iPhone 15 VS iPhone 16

iPhone 15 VS iPhone 16

অ্যাপল প্রতি বছর নতুন আইফোন প্রকাশের মাধ্যমে প্রযুক্তির নতুন মানদণ্ড স্থাপন করে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত iPhone 15 এবং ২০২৪ সালে প্রকাশিত iPhone 16 দুটি এমন ডিভাইস, যা প্রযুক্তি এবং ডিজাইন উভয় ক্ষেত্রেই অসাধারণ। যদিও তারা একই পরিবারের সদস্য, তবুও এই দুটি মডেলের মধ্যে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। আসুন দেখি, iPhone 15 এবং iPhone 16-এর মধ্যে কী কী পরিবর্তন এবং আপগ্রেড রয়েছে।

ডিজাইন এবং বিল্ড

iPhone 15:
iPhone 15-এর ডিজাইন অত্যন্ত প্রিমিয়াম এবং আধুনিক। এটি অ্যাপলের পরিচিত ফ্ল্যাট-এজ ডিজাইন মেনে চলেছে। ফোনটির বডি অ্যালুমিনিয়াম এবং সিরামিক শিল্ড দিয়ে তৈরি, যা একদিকে যেমন মজবুত, তেমনই অত্যন্ত স্টাইলিশ। iPhone 15-এর বেজেলগুলি সরু এবং ডিসপ্লের আকার ৬.১ থেকে ৬.৭ ইঞ্চি পর্যন্ত রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য এক বিশাল স্ক্রিন প্রদান করে।

iPhone 16:
iPhone 16-এ অ্যাপল নতুন ধরনের ম্যাট-ফিনিশ টাইটেনিয়াম বডি এনেছে, যা আগের তুলনায় আরও হালকা এবং মজবুত। ডিজাইনেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেমন বেজেল আরও সরু করা হয়েছে এবং ফ্রেমটি আরও পাতলা হয়েছে। এই মডেলে ডিসপ্লের আকার একই রাখা হলেও, প্রো মোশন XDR ডিসপ্লে এবং ২৪০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের মতো নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে, যা iPhone 15-এর তুলনায় আরও উন্নত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

ডিসপ্লে প্রযুক্তি

iPhone 15:
iPhone 15 এ সুপার রেটিনা XDR ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে, যার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ পর্যন্ত। HDR 10 এবং Dolby Vision সমর্থিত এই ডিসপ্লে অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট রঙের প্রদর্শন করে।

iPhone 16:
iPhone 16 এ প্রো মোশন XDR ডিসপ্লে যুক্ত করা হয়েছে, যার রিফ্রেশ রেট ২৪০ হার্টজ পর্যন্ত পৌঁছায়। এটি আগের ডিসপ্লের তুলনায় আরও মসৃণ এবং বাস্তবসম্মত ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করে। এছাড়া, ডিসপ্লেটি আরও উন্নত HDR এবং কনট্রাস্ট রেশিও সমর্থন করে।

পারফরম্যান্স এবং চিপসেট

iPhone 15:
iPhone 15 এ অ্যাপলের A17 বায়োনিক চিপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি। এই চিপটি দ্রুত এবং কার্যকরী পারফরম্যান্স প্রদান করে, এবং এতে রয়েছে ৬-কোর CPU এবং ৫-কোর GPU।

iPhone 16:
iPhone 16-এ রয়েছে আরও শক্তিশালী A18 বায়োনিক চিপ, যা ২ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি এবং এটি আরও বেশি শক্তিশালী এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এই চিপটিতে ৮-কোর CPU এবং ৬-কোর GPU রয়েছে, যা iPhone 15-এর তুলনায় আরও উন্নত পারফরম্যান্স এবং মেশিন লার্নিং ক্ষমতা প্রদান করে।

র‍্যাম এবং রোম

iPhone 15:
iPhone 15-এ ৬ জিবি র‍্যাম এবং ১২৮ গিগাবাইট থেকে শুরু করে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ অপশন রয়েছে। এটি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত স্পিড এবং স্টোরেজ প্রদান করে।

iPhone 16:
iPhone 16-এ ৮ জিবি র‍্যাম এবং ২৫৬ গিগাবাইট থেকে শুরু করে ২ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ অপশন উপলব্ধ। এই মডেলটি আরও বেশি মাল্টিটাস্কিং ক্ষমতা এবং স্টোরেজের সুবিধা প্রদান করে।

ক্যামেরা সিস্টেম

iPhone 15:
iPhone 15 এ উন্নত ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা রয়েছে, যা বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে সক্ষম। নাইট মোড, স্মার্ট HDR, এবং ৩এক্স অপটিক্যাল জুম সহ অন্যান্য ফিচারগুলোও বেশ উন্নত।

iPhone 16:
iPhone 16-এর ক্যামেরা সিস্টেমে বড় ধরনের আপগ্রেড আনা হয়েছে। এতে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর এবং ১০০X জুম ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, উন্নত নাইট মোড এবং ডিপ ফিউশন ২.০ প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে, যা কম আলোতেও উচ্চ মানের ছবি তোলার ক্ষমতা প্রদান করে।

ভিডিওগ্রাফি

iPhone 15:
iPhone 15 এ 4K রেজোলিউশনে ভিডিও ক্যাপচার করার সুবিধা রয়েছে এবং প্রো র-ফর্ম্যাটে ভিডিও ধারণ করা সম্ভব। ভিডিও স্ট্যাবিলাইজেশন এবং ডলবি ভিশন রেকর্ডিংয়ের মতো ফিচারগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

iPhone 16:
iPhone 16-এ 8K রেজোলিউশনে ভিডিও ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে। উন্নত ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন, ডলবি ভিশন রেকর্ডিং, এবং নতুন AI-বেসড ভিডিও এডিটিং টুল যুক্ত করা হয়েছে, যা প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করার জন্য আরও কার্যকরী।

ব্যাটারি এবং চার্জিং

iPhone 15:
iPhone 15 এ ৩,৭০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে, যা ২০W ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করে। এছাড়াও, ম্যাগসেফ এবং Qi ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা রয়েছে। ব্যাটারি লাইফও বেশ ভাল, যার ফলে একদিনের বেশি সময় ধরে ডিভাইসটি ব্যবহার করা যায়।

iPhone 16:
iPhone 16-এ ৪,২০০ এমএএইচ ব্যাটারি যুক্ত করা হয়েছে, যা ৩০W ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করে। এতে ম্যাগসেফ ৩.০ এর নতুন সংস্করণ যুক্ত করা হয়েছে, যা আগের মডেলের তুলনায় আরও দ্রুত চার্জিংয়ের সুবিধা প্রদান করে।

রিলিজ ডেট

iPhone 15:
iPhone 15 মুক্তি পেয়েছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, যা অ্যাপলের ঐতিহ্যবাহী সময়সূচী অনুযায়ী।

iPhone 16:
iPhone 16 প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, যা একটি স্বাভাবিক সময়সূচীর মধ্যেই পড়ে এবং iPhone 15-এর উত্তরসূরি হিসেবে বাজারে এসেছে।

আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য

iPhone 15 এর আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য:

  • যুক্তরাষ্ট্র: $799 থেকে শুরু
  • যুক্তরাজ্য: £799 থেকে শুরু
  • ইউরোপ: €899 থেকে শুরু
  • কানাডা: CAD 1,099 থেকে শুরু
  • অস্ট্রেলিয়া: AUD 1,349 থেকে শুরু
  • ভারত: ₹79,900 থেকে শুরু

iPhone 16 এর আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য:

  • যুক্তরাষ্ট্র: $999 থেকে শুরু
  • যুক্তরাজ্য: £899 থেকে শুরু
  • ইউরোপ: €999 থেকে শুরু
  • কানাডা: CAD 1,299 থেকে শুরু
  • অস্ট্রেলিয়া: AUD 1,499 থেকে শুরু
  • ভারত: ₹99,900 থেকে শুরু

মন্তব্য

iPhone 15 এবং iPhone 16 উভয়েই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং চমৎকার ডিজাইনের প্রতিফলন। তবে, iPhone 16-এ নতুন চিপসেট, উন্নত ক্যামেরা, এবং আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্সের মাধ্যমে উন্নত অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। র‍্যাম এবং স্টোরেজের ক্ষেত্রেও iPhone 16 আরও বেশি ক্ষমতা প্রদান করে। যাদের বাজেট সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাদের জন্য iPhone 15 এখনও একটি চমৎকার অপশন হতে পারে। অন্যদিকে, যারা সর্বশেষ এবং সর্বোচ্চ প্রযুক্তি চান, তাদের জন্য iPhone 16 হতে পারে একটি আদর্শ চয়েস।

সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

iPhone 15 VS iPhone 16

প্রকাশিত ০৪:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

iPhone 15 VS iPhone 16

অ্যাপল প্রতি বছর নতুন আইফোন প্রকাশের মাধ্যমে প্রযুক্তির নতুন মানদণ্ড স্থাপন করে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত iPhone 15 এবং ২০২৪ সালে প্রকাশিত iPhone 16 দুটি এমন ডিভাইস, যা প্রযুক্তি এবং ডিজাইন উভয় ক্ষেত্রেই অসাধারণ। যদিও তারা একই পরিবারের সদস্য, তবুও এই দুটি মডেলের মধ্যে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। আসুন দেখি, iPhone 15 এবং iPhone 16-এর মধ্যে কী কী পরিবর্তন এবং আপগ্রেড রয়েছে।

ডিজাইন এবং বিল্ড

iPhone 15:
iPhone 15-এর ডিজাইন অত্যন্ত প্রিমিয়াম এবং আধুনিক। এটি অ্যাপলের পরিচিত ফ্ল্যাট-এজ ডিজাইন মেনে চলেছে। ফোনটির বডি অ্যালুমিনিয়াম এবং সিরামিক শিল্ড দিয়ে তৈরি, যা একদিকে যেমন মজবুত, তেমনই অত্যন্ত স্টাইলিশ। iPhone 15-এর বেজেলগুলি সরু এবং ডিসপ্লের আকার ৬.১ থেকে ৬.৭ ইঞ্চি পর্যন্ত রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য এক বিশাল স্ক্রিন প্রদান করে।

iPhone 16:
iPhone 16-এ অ্যাপল নতুন ধরনের ম্যাট-ফিনিশ টাইটেনিয়াম বডি এনেছে, যা আগের তুলনায় আরও হালকা এবং মজবুত। ডিজাইনেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেমন বেজেল আরও সরু করা হয়েছে এবং ফ্রেমটি আরও পাতলা হয়েছে। এই মডেলে ডিসপ্লের আকার একই রাখা হলেও, প্রো মোশন XDR ডিসপ্লে এবং ২৪০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের মতো নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে, যা iPhone 15-এর তুলনায় আরও উন্নত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

ডিসপ্লে প্রযুক্তি

iPhone 15:
iPhone 15 এ সুপার রেটিনা XDR ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে, যার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ পর্যন্ত। HDR 10 এবং Dolby Vision সমর্থিত এই ডিসপ্লে অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট রঙের প্রদর্শন করে।

iPhone 16:
iPhone 16 এ প্রো মোশন XDR ডিসপ্লে যুক্ত করা হয়েছে, যার রিফ্রেশ রেট ২৪০ হার্টজ পর্যন্ত পৌঁছায়। এটি আগের ডিসপ্লের তুলনায় আরও মসৃণ এবং বাস্তবসম্মত ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করে। এছাড়া, ডিসপ্লেটি আরও উন্নত HDR এবং কনট্রাস্ট রেশিও সমর্থন করে।

পারফরম্যান্স এবং চিপসেট

iPhone 15:
iPhone 15 এ অ্যাপলের A17 বায়োনিক চিপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি। এই চিপটি দ্রুত এবং কার্যকরী পারফরম্যান্স প্রদান করে, এবং এতে রয়েছে ৬-কোর CPU এবং ৫-কোর GPU।

iPhone 16:
iPhone 16-এ রয়েছে আরও শক্তিশালী A18 বায়োনিক চিপ, যা ২ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি এবং এটি আরও বেশি শক্তিশালী এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এই চিপটিতে ৮-কোর CPU এবং ৬-কোর GPU রয়েছে, যা iPhone 15-এর তুলনায় আরও উন্নত পারফরম্যান্স এবং মেশিন লার্নিং ক্ষমতা প্রদান করে।

র‍্যাম এবং রোম

iPhone 15:
iPhone 15-এ ৬ জিবি র‍্যাম এবং ১২৮ গিগাবাইট থেকে শুরু করে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ অপশন রয়েছে। এটি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত স্পিড এবং স্টোরেজ প্রদান করে।

iPhone 16:
iPhone 16-এ ৮ জিবি র‍্যাম এবং ২৫৬ গিগাবাইট থেকে শুরু করে ২ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ অপশন উপলব্ধ। এই মডেলটি আরও বেশি মাল্টিটাস্কিং ক্ষমতা এবং স্টোরেজের সুবিধা প্রদান করে।

ক্যামেরা সিস্টেম

iPhone 15:
iPhone 15 এ উন্নত ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা রয়েছে, যা বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে সক্ষম। নাইট মোড, স্মার্ট HDR, এবং ৩এক্স অপটিক্যাল জুম সহ অন্যান্য ফিচারগুলোও বেশ উন্নত।

iPhone 16:
iPhone 16-এর ক্যামেরা সিস্টেমে বড় ধরনের আপগ্রেড আনা হয়েছে। এতে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর এবং ১০০X জুম ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, উন্নত নাইট মোড এবং ডিপ ফিউশন ২.০ প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে, যা কম আলোতেও উচ্চ মানের ছবি তোলার ক্ষমতা প্রদান করে।

ভিডিওগ্রাফি

iPhone 15:
iPhone 15 এ 4K রেজোলিউশনে ভিডিও ক্যাপচার করার সুবিধা রয়েছে এবং প্রো র-ফর্ম্যাটে ভিডিও ধারণ করা সম্ভব। ভিডিও স্ট্যাবিলাইজেশন এবং ডলবি ভিশন রেকর্ডিংয়ের মতো ফিচারগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

iPhone 16:
iPhone 16-এ 8K রেজোলিউশনে ভিডিও ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে। উন্নত ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন, ডলবি ভিশন রেকর্ডিং, এবং নতুন AI-বেসড ভিডিও এডিটিং টুল যুক্ত করা হয়েছে, যা প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করার জন্য আরও কার্যকরী।

ব্যাটারি এবং চার্জিং

iPhone 15:
iPhone 15 এ ৩,৭০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে, যা ২০W ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করে। এছাড়াও, ম্যাগসেফ এবং Qi ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা রয়েছে। ব্যাটারি লাইফও বেশ ভাল, যার ফলে একদিনের বেশি সময় ধরে ডিভাইসটি ব্যবহার করা যায়।

iPhone 16:
iPhone 16-এ ৪,২০০ এমএএইচ ব্যাটারি যুক্ত করা হয়েছে, যা ৩০W ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করে। এতে ম্যাগসেফ ৩.০ এর নতুন সংস্করণ যুক্ত করা হয়েছে, যা আগের মডেলের তুলনায় আরও দ্রুত চার্জিংয়ের সুবিধা প্রদান করে।

রিলিজ ডেট

iPhone 15:
iPhone 15 মুক্তি পেয়েছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, যা অ্যাপলের ঐতিহ্যবাহী সময়সূচী অনুযায়ী।

iPhone 16:
iPhone 16 প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, যা একটি স্বাভাবিক সময়সূচীর মধ্যেই পড়ে এবং iPhone 15-এর উত্তরসূরি হিসেবে বাজারে এসেছে।

আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য

iPhone 15 এর আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য:

  • যুক্তরাষ্ট্র: $799 থেকে শুরু
  • যুক্তরাজ্য: £799 থেকে শুরু
  • ইউরোপ: €899 থেকে শুরু
  • কানাডা: CAD 1,099 থেকে শুরু
  • অস্ট্রেলিয়া: AUD 1,349 থেকে শুরু
  • ভারত: ₹79,900 থেকে শুরু

iPhone 16 এর আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য:

  • যুক্তরাষ্ট্র: $999 থেকে শুরু
  • যুক্তরাজ্য: £899 থেকে শুরু
  • ইউরোপ: €999 থেকে শুরু
  • কানাডা: CAD 1,299 থেকে শুরু
  • অস্ট্রেলিয়া: AUD 1,499 থেকে শুরু
  • ভারত: ₹99,900 থেকে শুরু

মন্তব্য

iPhone 15 এবং iPhone 16 উভয়েই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং চমৎকার ডিজাইনের প্রতিফলন। তবে, iPhone 16-এ নতুন চিপসেট, উন্নত ক্যামেরা, এবং আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্সের মাধ্যমে উন্নত অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। র‍্যাম এবং স্টোরেজের ক্ষেত্রেও iPhone 16 আরও বেশি ক্ষমতা প্রদান করে। যাদের বাজেট সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাদের জন্য iPhone 15 এখনও একটি চমৎকার অপশন হতে পারে। অন্যদিকে, যারা সর্বশেষ এবং সর্বোচ্চ প্রযুক্তি চান, তাদের জন্য iPhone 16 হতে পারে একটি আদর্শ চয়েস।