রাঙামাটিতে সংঘর্ষের পর জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে, যার ফলে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে এই আদেশ জারি করা হয়, কারণ সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে (১৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন।
এই ঘটনার পর শুক্রবার সকালে রাঙামাটিতে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। বিক্ষোভ চলাকালে দুটি স্থানীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পার্বত্য ছাত্র আন্দোলন নামে একটি সংগঠন একটি মিছিল নিয়ে বনরুপা এলাকায় গিয়ে দোকানপাট ভাঙচুর করে, দাবি করে যে তারা প্রথমে আক্রমণের শিকার হয়েছিল।
আক্রমণের খবর পেয়ে অন্য গোষ্ঠী পাল্টা আক্রমণ চালায়, যার সময় কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এদিকে, বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীরা বান্দরবানে সম্মিলিত ছাত্র সমাজের ব্যানারে একটি মিছিল বের করে। শত শত শিক্ষার্থী ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা একটি সমাবেশ করে।