০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতে অতিভারি বৃষ্টির শঙ্কা, ডুবতে পারে সিলেট-সুনামগঞ্জের নতুন এলাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
  • / 97

মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪: বন্যা পূর্বাভাস আপডেটে গবেষক পলাশ জানিয়েছেন যে, বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো। এই জেলাগুলোর উপরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তা মেঘালয় পর্বতের ওপরে কয়েকগুণ বেশি।

তিনি বলেন, আজ রাতটি সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করার জন্য দ্রুত প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম অনুসারে, বিকেলের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে গেলেও, রাত ১২টার পর থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। রাত ৩টার পর থেকে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার মেঘালয় পর্বত এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ভোর ৬টার পর থেকে আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুবই ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

গবেষক পলাশ আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সুনামগঞ্জ জেলার কিছু কিছু স্থানে নদীর পানি সাময়িকভাবে কমলেও, মধ্যরাতের পর থেকে তা আবারও বাড়তে পারে। এর প্রভাবে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

জলবায়ু বিষয়ক গবেষক জানান, স্বাভাবিকভাবে সিলেটে জুনের দিকে ৮৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু ২০২৪ সালে জুনের ১৭ দিনেই ১৫৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে ৮৪% বেশি।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র জাফলং, রাতারগুল, বিছানাকান্দি, এবং পান্থুমাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, আগামী সাত দিন সিলেট ও এর আশপাশের এলাকায় অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল এবং তিস্তা বাঁধ এলাকায়ও বৃষ্টি বাড়ছে। এই প্রবণতা আরও এক সপ্তাহ থাকতে পারে, যার ফলে সিলেটবাসীর জন্য আপাতত কোনো সুখবর নেই এবং তাদের ভয়াবহ বন্যা পরিস

সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

রাতে অতিভারি বৃষ্টির শঙ্কা, ডুবতে পারে সিলেট-সুনামগঞ্জের নতুন এলাকা

প্রকাশিত ০৪:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪: বন্যা পূর্বাভাস আপডেটে গবেষক পলাশ জানিয়েছেন যে, বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো। এই জেলাগুলোর উপরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তা মেঘালয় পর্বতের ওপরে কয়েকগুণ বেশি।

তিনি বলেন, আজ রাতটি সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করার জন্য দ্রুত প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম অনুসারে, বিকেলের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে গেলেও, রাত ১২টার পর থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। রাত ৩টার পর থেকে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার মেঘালয় পর্বত এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ভোর ৬টার পর থেকে আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুবই ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

গবেষক পলাশ আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সুনামগঞ্জ জেলার কিছু কিছু স্থানে নদীর পানি সাময়িকভাবে কমলেও, মধ্যরাতের পর থেকে তা আবারও বাড়তে পারে। এর প্রভাবে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

জলবায়ু বিষয়ক গবেষক জানান, স্বাভাবিকভাবে সিলেটে জুনের দিকে ৮৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু ২০২৪ সালে জুনের ১৭ দিনেই ১৫৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে ৮৪% বেশি।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র জাফলং, রাতারগুল, বিছানাকান্দি, এবং পান্থুমাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, আগামী সাত দিন সিলেট ও এর আশপাশের এলাকায় অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল এবং তিস্তা বাঁধ এলাকায়ও বৃষ্টি বাড়ছে। এই প্রবণতা আরও এক সপ্তাহ থাকতে পারে, যার ফলে সিলেটবাসীর জন্য আপাতত কোনো সুখবর নেই এবং তাদের ভয়াবহ বন্যা পরিস